আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৯৩টি নথিভুক্ত লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমান ও কামান হামলা, স্থানীয় বাসিন্দাদের ও তাদের বাড়িঘরের ওপর আক্রমণ এবং বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি আক্রমণের ঘটনা।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ২৭৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। একই সময়ে অন্তত ৬৫২ জন আহত হয়েছেন এবং আরও ৩৫ জন গাজাবাসীকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তারা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে জায়নবাদী সরকারেও এপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
এদিকে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭২ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
এ অবস্থায় ৬ অক্টোবর মিশর, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি সমাধানের জন্য হামাস ও ইসরায়েলের পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। ৯ অক্টোবর পক্ষগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার চুক্তিতে সই করে। ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
Your Comment